স্বদেশ ডেস্ক:
বদহজম খুব বাজে ব্যাপার। গুরুপাক জাতীয় খাবার খেলে অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। তবে এটি বিপজ্জনক বলা যাবে না। কিন্তু যাদের দীর্ঘদিন ধরে ঘটছে বা পাকস্থলীর ব্যথা দিনের প্রায় প্রতিটি ঘণ্টায় থাকে অথবা মাঝে মধ্যে খুব বেশি আকারে ঘটে, তাদের দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এসব উপসর্গ বদহজম ছাড়াও আরও ভয়ানক শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
পেপটিক আলসারের যেসব রোগী দীর্ঘ সময় ধরে ঠিকমতো চিকিৎসা করাচ্ছেন না, তাদের অন্ত্র বা পাকস্থলী ছিদ্র (পোরকোরেশন) হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। বদহজমে দীর্ঘদিন ধরে যারা ভুগছেন, যাদের একই সঙ্গে অন্য কোনো অসুখ, যেমন- হায়াটাস হার্নিয়া, পেপটিক আলসার, পাকস্থলী বা অন্ত্রের ক্যানসার আছে, তাদের কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
যদি বদহজমের কারণ দ্রুত ও ঠিকমতো না চিবানোর জন্য হয়, তবে তাকে ঠিকমতো ও পরিমিত সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবার পরামর্শ দিতে হবে। যাদের খাদ্যদ্রব্য নির্বাচনের কারণে বদহজম হচ্ছে, তাদের সঠিক খাদ্যদ্রব্য বেছে নিতে হবে। অনেকের দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে বদহজম হয়। তাদের তা বর্জন করতে হবে।
পেপটিক আলসারের রোগীর আলসার থেকে মুক্তি পেতে অ্যাসিড নিঃসরণ কমানোর ওষুধ, একই সঙ্গে যেসব কারণে এ অবস্থা হচ্ছে, যেমন- অতিরিক্ত চাপযুক্ত জীবনযাপন, অনিয়মিত ও বেশি বেশি খাওয়া-দাওয়া, ধূমপান ইত্যাদি দূর করার চেষ্টা করতে হবে। এবং তাদের জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ প্রণালি বাতলে দিতে হবে। বদহজম কমানোর জন্য রয়েছে ভালো মানের হোমিও ওষুধ। অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে তা সেবনেও সুস্থ থাকা যায়।